Thursday 29 November 2018
Wednesday 28 November 2018
Monday 26 November 2018
Sunday 25 November 2018
Saturday 24 November 2018
Friday 23 November 2018
Thursday 22 November 2018
Wednesday 21 November 2018
Tuesday 21 August 2018
শ্রীল প্রভুপাদের ব্যাস-পূজা ২০১৮ শ্রদ্ধাঞ্জলী
আজ অবকাশ, তোমার সকাশ,
প্রকাশিব সব কথা ।
শুন প্রভুপাদ, মম অধঃপাত,
দুর্ভাগ্য-দুঃখের গাঁথা ।।১।।
অন্তরে প্রতিষ্ঠা, বাহিরেতে
নিষ্ঠা,
কপট-লম্পট আমি ।
সদা সার্থপর, কলির কিঙ্কর,
সকলি জানয়ে তুমি ।।২।।
মনে সদা কাম, বাহ্যে সাধু
ভাণ,
কুটিলতায় অদ্বিতীয় ।
সাধু বলে হায়, ভাবে-সব আমায়,
তোমার ত সব জ্ঞেয় ।।৩।।
এমত অবস্থা, করহ ব্যবস্থা,
প্রভুপাদ দয়াময় ।
তুমি ছাড়া আর, আমার উদ্ধার,
কদাপি সম্ভব নয় ।।৪।।
তব দিব্য বাণী, যথাযথ জানি,
বিচারিতে দেহ শক্তি ।
প্রকৃষ্ট-আচার, সুদৃঢ়-প্রচার,
দেহ তবানুগ ভক্তি ।।৫।।
তব মনোভাব, আমার স্বভাব,
হয় যেন অনুক্ষণ ।
উদ্দেশ্য-তোমার, অভিষ্ট-আমার,
পদ্মমুখের নিবেদন ।।৬।।
শ্রীল প্রভুপাদ-পাদপদ্ম-পরাগ প্রার্থী
পদ্মমুখ নিমাই দাস ।
Friday 17 August 2018
গৌরহরির প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং পুনঃ প্রার্থনা
ওহে
গৌরহরি, পুনঃ পদে পড়ি,
জানাই
যে সাধুবাদ ।
রাখিল
আমার শ্রীগুরু,
তোমার,
অজেয়
আশির্বাদ ।।১।।
হেন
অদভূত, কার্য তোমার,
আবারো
দেখালে তুমি ।
তব
ভকতির, শ্রেষ্ঠতা আরও,
পুনঃস্থাপিলে
স্বামী ।।২।।
তব
বহির্মুখ, বিষয়ে উন্মুখ,
অবিশ্বাসী
যত লোক ।
দেখি
এ অদ্ভুত, অবিশ্বাসের ভূত,
তাদের
বিনাশ হোক ।।৩।।
কে
জানে তোমার, মনের বাসনা,
হয়ত
আবারও হয় ।
গুরুদেব
আমার, করিবেন আবার,
পূরবের
ন্যায় জয় ।।৪।।
ঝম্প
হাতে, পাগড়ি
মাথে,
নৃত্য
রথের আগে ।
পুনঃ
সে দৃশ্য, দেখিবে বিশ্ব,
যদিবা
থাকয়ে ভাগে ।।৫।।
কৃষ্ণভাবনার, বায়ু যে আবার,
বহিবে
জগৎময় ।
সেই
বায়ুতে, জয়ের পতাকা,
ঘুষিবে তোমারি জয় ।।৬।।
গুরু-গৌরাঙ্গ-গৌড়ীয়গণ কৃপাপ্রার্থী,
পদ্মমুখ নিমাই দাস
Wednesday 15 August 2018
শ্রীল গুরুদেবের জন্য প্রার্থনা
ওহে গোরহরি, তব পদে ধরি,
মিনতি করিয়ে এই ।
প্রাণপ্রিয় মোর, শ্রীল গুরুদেব,
তব নিজ-জন সেই ।।১।।
তব শুদ্ধভক্ত, সদা অনুরক্ত,
যাহা
ইচ্ছা কর তুমি ।
ঈশ্বর স্বতন্ত্র, তব ইচ্ছা শক্ত,
কিরূপে বুঝিব আমি ।।২।।
তব-জন সহ, তব-লীলা যত,
বুঝিতে শকতি কার ।
দেব-ঋষি সবে, মুগ্ধ সে
বৈভবে,
আমি আর কোন্ ছার ।।৩।।
সে মহান আচার্য, প্রভুদত্ত কার্য,
অদ্যপি
নহে ত শেষ ।
তব ইচ্ছা হলে, রাখ শক্তিবলে,
করুণাময় অশেষ ।।৪।।
গুরু-গৌরাঙ্গ-গৌড়ীয়গণ
কৃপাপ্রার্থী,
পদ্মমুখ
নিমাই দাস
Saturday 7 April 2018
কুন্তিস্তুতি
১.৮.১৮
সকলের অন্তরে ও বাহিরে অবস্থিত
হয়েও আদি পুরুষ ও জড়াতীত ভগবান সকলের অলক্ষ্য–
নমস্যে পুরুষং ত্বাদ্যমীশ্বরং প্রকৃতেঃ পরম্ ।
অলক্ষ্যং সর্বভূতানামন্তর্বহিরবস্থিতম্ ॥
আদিপুরুষ প্রভু
তুমি প্রকৃতির পার ।
বিনম্র প্রণাম আমার
করহ স্বীকার ।।
সর্বজীবের
ভেতর-বাহির তোমার বাসস্থান ।
তথাপি না দেখে জীব
তোমায় ভগবান ।।
১.৮.১৯
অজ্ঞ ব্যক্তিরা অভিনেতার সাজে
সজ্জিত শিল্পীর ন্যায় ভগবৎ-দর্শনেও অক্ষম –
মায়াজবনিকাচ্ছন্নমজ্ঞাধোক্ষজমব্যয়ম্
।
ন লক্ষ্যসে মূঢ়দৃশা নটো নাট্যধরো
যথা ॥
ইন্দ্রিয়জ জ্ঞানের
অতীত অব্যক্ত অচ্যুত ।
মায়াজবনিকা তোমা
করে আচ্ছাদিত ।।
মূর্খ যৈছে নাহি
বুঝে নটের পরিচয় ।
তৈছে তোমা নাহি
দেখে জীবের নিচয় ।।
১.৮.২০
ভগবানের আবির্ভাবের উদ্দেশ্য –
তথা পরম হংসানাং মুনীনামমলাত্মনাম্
।
ভক্তিযোগবিধানার্থং কথং পশ্যেমহি
স্ত্রিয়ঃ ॥
পরমহংস মুনিগণের
নির্মল হৃদয় ।
ভক্তিযোগের বিজ্ঞান
তাতে করিতে উদয় ।।
স্বয়ং অবতরণ কর
তুমি দয়াময় ।
মো-সম-স্ত্রীগণে
কৈছে তোমার জ্ঞান হয় ।।
১.৮.২১
শ্রীকৃষ্ণ প্রণাম –
কৃষ্ণায় বাসুদেবায় দেবকীনন্দনায় চ ।
নন্দগোপকুমারায় গোবিন্দায় নমো নমঃ
॥
বসুদেব-সুত কৃষ্ণ
দেবকীনন্দন ।
গাভী আর ইন্দ্রিয়ের
আনন্দ-বর্ধন ।।
গোপেশ্বর-মহারাজ
নন্দের নন্দন ।
পুনঃ পুনঃ করি তোমা
প্রণাম নিবেদন ।।
১.৮.২২
ভগবানের পদ্মসদৃশ দেহ-সৌষ্ঠব
–
নমঃ পঙ্কজনাভায় নমঃ পঙ্কজমালিনে ।
নমঃ পঙ্কজনেত্রায় নমস্তে
পঙ্কজাঙ্ঘ্রয়ে ॥
পদ্মনাভ-পদ্মমালি-পদ্মনেত্র
তুমি ।
পঙ্কজাঙ্ঘ্রি প্রভু
তোমা নমন করি আমি ।।
১.৮.২৩
ভগবান কর্তৃক ভক্তরক্ষা –
যথা হৃষিকেশ খলেন দেবকী
কংসেন রুদ্ধাতিচিরং
শুচার্পিতা ।
বিমোচিতাঽঞ্চ সহাত্মজা বিভো
ত্বয়ৈব নাথেন মুহুর্বিপদগুাৎ ॥
খল কংস বহুকাল
তোমার জননীরে ।
রুদ্ধ করে রেখেছিল
কারার ভিতরে ।।
শোকগ্রস্ত জননীরে
করিলে উদ্ধার ।
ইন্দ্রিয়ের অধিপতি
তুমি সবাকার ।।
তৈছে আমায় পুত্রসহ
বিপদরাশি হৈতে ।
রাখিয়াছ বারেবারে
তোমার দয়াতে ।।
১.৮.২৪
পাণ্ডবদের বিপদের তালিকা –
বিষান্মহাগ্নেঃ পুরুষাদদর্শনা-
দসৎসভায়া বনবাসকৃচ্ছ্রতঃ ।
মৃধে মৃধেঽনেকমহারথাস্ত্রতো
দ্রৌণ্যস্ত্রতশ্চাস্ম
হরেঽভিরক্ষিতাঃ ॥
পূর্বে বিষ, মহা অগ্নি,
নরখাদক হইতে ।
অসৎসভা, বনবাসের
দুঃখ-কষ্ট হইতে ।।
রাখিয়াছ যুদ্ধে মহারথীর
অস্ত্র হইতে ।
এবে যে রাখিলে হরি
দ্রৌণির অস্ত্র হইতে ।।
১.৮.২৫
ভগবৎ-স্মরণার্থে ভক্ত কর্তৃক
পুনঃ পুনঃ বিপদ প্রার্থনা –
বিপদঃ সন্তু তাঃ শশ্বত্তত্র তত্র
জগদগুরো ।
ভবতো দর্শনং যৎ
স্যাদপুনর্ভবদর্শনম্ ॥
প্রার্থনা মোর বিপদরাশি
আসুক নিরন্তর ।
তবে পাব তব দেখা
হে-জগদীশ্বর ।।
তব দরশন হইতে
ঘুচিবে সংসার ।
জন্ম-মৃত্যু চক্র হইতে
পাইব নিস্তার ।
১.৮.২৬
ভগবৎ-প্রাপ্তির যোগ্যতা
(অকিঞ্চনত্ব) ও অন্তরায়-চতুঃষ্টয় (জন্ম, ঐশ্বর্য, শ্রুত, শ্রী) –
জন্মৈশ্বর্যশ্রুতশ্রীভিরেধমানমদঃ
পুমান্ ।
নৈবার্হত্যাভিধাতুং বৈ
ত্বামকিঞ্চনগোচরম্ ॥
সৎকুল, ধন, বিদ্যা
রূপাদি বৈভব ।
লভিয়া হইয়াছে
মদমত্ত যেই সব ।।
নাহি পারে লভিবারে
তব নাম কভু ।
অকিঞ্চনের গোচর এই
তোমার রীতি প্রভু ।।
১.৮.২৭
অকিঞ্চন ভক্ত ও অন্যান্যদের
সাথে ভগবানের বিনিময় –
নমোঽকিঞ্চনবিত্তায়
নিবৃত্তগুণবৃত্তয়ে ।
আত্মারামায় শান্তায় কৈবল্যপতয়ে নমঃ
॥
অকিঞ্চনের বিত্ত
তুমি তোমায় নমস্কার ।
পূর্ণরূপে
আত্মতৃপ্ত, প্রকৃতির পার ।।
রাগাদি-কাম মুক্ত
তুমি প্রশান্ত সর্বদা ।
নমস্কার করি তব পদে
মুক্তিদাতা ।।
১.৮.২৮
জীবের মধ্যে পরস্পর কলহের কারণ
জীব নিজেই, সম গুণ সম্পন্ন ভগবান নন –
মন্যে ত্বাং কালমীশানমনাদিনিধনং
বিভুম্ ।
সমং চরন্তং সর্বত্র ভূতানাং
যন্মিথঃ কলিঃ ॥
নিত্যকালস্বরূপ বলে
তোমায় ভাবি আমি ।
আদি-অন্তহীন,
সর্ব্ব্যাপ্ত প্রভু তুমি ।।
সবার নিয়ন্তা, সমান
কৃপা সবার প্রতি ।
জীবের-কলহের হেতু পারস্পরিক
প্রীতি ।।
১.৮.২৯
নিরপেক্ষ ভগবানের বিভ্রান্তিকর লীলা
ন বেদ কশ্চিদ্ভগবংশ্চিকীর্ষিতং
তবেহমানস্য নৃণাং বিড়ম্বনম্ ।
ন যস্য কশ্চিদ্দয়িতোহস্তি কর্হিচিদ্
দ্বেষ্যশ্চ যস্মিন্ বিষমা মতির্নৃণাম্ ।।
তব দিব্য কার্য্য লোকের বোধগম্য নয় ।
সাধারণ ক্রিয়া বলে প্রতিভাত হয় ।।
এ জগতে নাহি কেহ তব শত্রু-মিত্র ।
মূঢ় লোক ভাবে তোমায় পক্ষপাতপূর্ণ ।।
১.৮.৩০
ভগবানে বিরোধাত্মক বৈশিষ্ট্যাবলী
জন্ম কর্ম চ বিশ্বাত্মন্নজস্যাকর্তুরাত্মনঃ ।
তির্যঙনৃষিষু যাদঃসু তদত্যন্তবিড়ম্বনম্ ।।
অনাদি, নিষ্ক্রিয়, তুমি জগদন্তর্য্যামী ।
জীবের হৃদয়ে থাক হয়ে অন্তর্য্যামী ।।
তথাপি করহ জন্ম-কর্ম এ জগতে ।
পশু-নর-ঋষি আর জলচর কুলে ।।
তোমার এসব লীলা বিড়ম্বনাকর ।
অভিনয় মাত্র লোক-প্রবঞ্চনাকর ।।
১.৮.৩১
স্বয়ং ভয়েরও ভয়স্বরূপ ভগবানের ভীতি
গোপ্যাদ্যদে ত্বয়ি কৃতাগসি দাম তাবদ্
যা তে দশাশ্রুকলিলাঞ্জনসম্ভ্রমাক্ষম্ ।
বক্ত্রং নিনীয় ভয়ভাবনয়া স্থিতস্য
সা মাং বিমোহয়তি ভীরপি যদ্বিভেতি ।।
দধিভাণ্ড ভেঙ্গেছিলে বাল্যলীলা-কালে ।
রজ্জুহাতে লইলা মাতা তোমায় বান্ধিবারে ।।
আনত মস্তকে তখন ভয়ের ভাবনায় ।
স্বয়ং ভয়ের ভয়স্বরূপ তোমার হইল ভয় ।।
অশ্রুসিক্ত নয়ন তোমার বিধৌত অঞ্জন ।
হেন দশা স্মরি আজও বিমুগ্ধ মোর মন ।।
১.৮.৩২
পুণ্যবান রাজাদের কীর্তি বর্ধনার্থে ও প্রিয়ভক্ত যদুর আনন্দ বিধানার্থে
কেচিদাহুরজং জাতং পুণ্যশ্লোকস্য কীর্তয়ে ।
যদোঃ প্রিয়স্যান্ববায়ে মলয়স্যেব চন্দনম্ ।।
মলয়ের যশোরাশি বাড়াইবার তরে ।
চন্দনের তরু যৈছে তথায় অবতরে ।।
তৈছে কেহ বলে হইল অজের অবতার ।
বাড়াইতে কীর্তি সব পুণ্যবান-রাজার ।।
কিংবা তব প্রিয়ভক্ত মহারাজ যদু ।
তাঁর বংশে কৈলে জন্ম তাঁর-তুষ্টি হেতু ।।
১.৮.৩৩
বসুদেব-দেবকীর প্রার্থনায় ও অসুর সংহারার্থে ভগবৎ-আবির্ভাব
অপরে বসুদেবস্য দেবক্যাং যাচিতোহভ্যগাৎ ।
অজস্ত্বমস্য ক্ষেমায় বধায় চ সুরদ্বিষাম্ ।।
অন্য কেহ বলে বসুদেব আর দেবকী ।
তাঁদের-আহ্বানে অবতরণ কৈলে তুমি ।।
তাঁদের মঙ্গল আর অসুর নিধন ।
অজ ভগবান তোমার জন্মের কারণ ।।
১.৮.৩৪
ব্রহ্মার প্রার্থনায় ভূভার হরণার্থে ভগবৎ-আবির্ভাব
ভারাবতারণায়ান্যে ভুবো নাব ইবোদধৌ ।
সীদন্ত্যা ভূরিভারেণ জাতো হ্যাত্মভুবার্থিতঃ ।।
সমুদ্রেতে মজ্জমান ভারী-নায়ের ন্যায় ।
পাপভারে ক্ষিতি হইল অবসন্নপ্রায় ।।
তব পুত্র ব্রহ্মা তোমায় প্রার্থনা জানাইলে ।
সেই হেতু জন্ম তোমার অন্য কেহ বলে ।।
১.৮.৩৫
বদ্ধজীবের উদ্ধারের জন্য ভক্তিযোগ পুনঃপ্রবর্তনার্থে
ভবেহস্মিন্ ক্লিশ্যমানানামাবিদ্যাকামকর্মভিঃ ।
শ্রবণস্মরণার্হাণি করিষ্যন্নিতি কেচন ।।
অবিদ্যাজনিত কাম-কর্মের বন্ধনে ।
ভবে-বদ্ধ ক্লেশক্লিষ্ট জীবের তারণে ।।
শ্রবণ-স্মরণ-অর্চনাদি ভক্তিযোগ যেহো ।
পুনঃপ্রবর্তাইতে জন্ম বলে অন্য কেহ ।।
১.৮.৩৬
জন্ম-মৃত্যুর প্রবাহ নিবৃত্তকারী ভগবৎ-পাদপদ্ম দর্শনের যোগ্যতা
শৃণ্বন্তি গায়ন্তি গৃণন্ত্যভীক্ষ্ণশঃ
স্মরন্তি নন্দন্তি তবেহিতং জনাঃ ।
ত এব পশ্যন্ত্যচিরেণ তাবকং
ভবপ্রবাহোপরমং পদাম্বুজম্ ।।
যারা তব কীর্তিগাথার করেন শ্রবণ ।
নিরন্তর করেন গান-জপ ও স্মরণ ।।
কিংবা অন্য জনে কৈলে তবে তার প্রতি ।
মৎসরতা নাহি হয়, কিন্তু হয় প্রীতি ।।
তব পদ হয় তাদের অচিরে দর্শন ।
জন্ম-মৃত্যু-স্রোত যাতে হয় নিবর্তন ।।
১.৮.৩৭
শত্রু-সংকুল পরিস্থিতিতে পরিত্যাগ না করতে ভগবানকে অনুনয়
অপাদ্য নস্তং স্বকৃতেহিত প্রভো
জিহাসসি স্বিৎ সুহৃদোহনুজীবিনঃ ।
যেষাং ন চান্যদ্ভবতঃ পদাম্বুজাৎ
পরায়ণং রাজসু যোজিতাংহসাম্ ।।
রাজাগণের দুঃখলাভের কারণ আমরা ।
আমাদের প্রতি দ্বেষ-ভাব রাখে তারা ।।
যদ্যপিও সমর্পিত মোরা তোমা পদে ।
তোমা বিনা রক্ষাকর্তা নাহি মোদের এবে ।।
আপনি করিলে পূর্ণ আপনার কাজ ।
আমা সবা ছাড়ি প্রভু কিবা যাও আজ ।।
১.৮.৩৮
ভগবৎ-অদর্শনে অসহায় জীব
কে বয়ং নামরূপাভ্যাং যদুভিঃ সহ পাণ্ডবাঃ ।
ভবতোহদর্শনং যর্হি হৃষীকাণামিবেশিতুঃ ।।
আত্মার প্রয়াণ হইলে আর থাকে কিবা ।
নাম-যশ শেষ সব দেহে ছিল যেবা ।।
তৈছে যদি আমাদের নাহি দেখ তুমি ।
পাণ্ডব-যাদবের কীর্তি যাইবে তখনি ।।
১.৮.৩৯
ভগবৎ-পাদপদ্মের চিহ্নাঙ্কিত রাজ্য
নেয়ং শোভিষ্যতে তত্র যথেদানীং গদাধর ।
ত্বৎপদৈরঙ্কিতা ভাতি স্বলক্ষণবিলক্ষিতৈঃ ।।
ধ্বজবজ্রাঙ্কুশাদি সব তব চরণের ।
চিহ্নসব শোভাকরে রাজ্য আমাদের ।।
এবে যদি প্রভু তুমি এই রাজ্য ছাড় ।
হেন শোভা নাহি রবে ওহে গদাধর ।।
১.৮.৪০
ভগবানের শুভ দৃষ্টিপাতের ফল - সমৃদ্ধ জনপদ
ইমে জনপদাঃ স্বৃদ্ধাঃ সুপক্বৌষধিবীরুধঃ ।
বনাদ্রিনদ্যুদন্বন্তো হ্যেধন্তে তব বীক্ষিতৈঃ ।।
সমৃদ্ধ হয়েছে সব জনপদ-দেশ ।
শস্য আর ঔষধি সব জন্মিল অশেষ ।।
বৃক্ষসব পূর্ণ হইল পরিপক্ক ফলে ।
ধাতুতে সমৃদ্ধ গিরি, সমুদ্র সম্পদে ।।
প্রবাহিত নদীসব আপন গতিতে ।
হইয়াছে সম্ভব সব তব দৃষ্টিপাতে ।।
১.৮.৪১
স্বজন-স্নেহ ছিন্ন করার প্রার্থনা
অথ বিশ্বেশ বিশ্বাত্মন্ বিশ্বমূর্তে স্বকেষু মে
।
স্নেহপাশমিমং ছিন্ধি দৃঢ়ং পাণ্ডুষু বৃষ্ণিষু ।।
হে সর্ব-অন্তর্যামী, হে জগদীশ্বর ।
বিশ্বরূপ মোর প্রতি এই দয়া কর ।।
আত্মীয়সকল যত বৃষ্ণি-পাণ্ডবগণ ।
ছিন্ন কর তাদের প্রতি স্নেহের বন্ধন ।।
১.৮.৪২
ভগবানে নিরন্তর আকৃষ্ট একনিষ্ঠ মতি –
ত্বয়ি মেঽনন্যবিষয়া মতির্মধুপতেঽসকৃৎ ।
রতিমুদ্বহতাদদ্ধা গঙ্গেবৌঘমুদন্বতি ।।
গঙ্গাদেবী যৈছে প্রবাহিত হন সুখে ।
অপ্রতিহতভাবে সাগরাভিমুখে ।।
তৈছে আমার একনিষ্ঠ-মতি তোমার প্রতি ।
নিরন্তর-আকৃষ্ট যেন থাকে মধুপতি ।।
১.৮.৪৩
শ্রীকৃষ্ণ স্তুতির সারমর্ম –
শ্রীকৃষ্ণ কৃষ্ণসখ বৃষ্ণ্যৃষভাবনিধ্রুগ্
রাজন্যবংশদহনানপবর্গবীর্য ।
গোবিন্দ গোদ্বিজসুরার্তিহরাবতার
যোগেশ্বরাখিলগুরো ভগবন্নমস্তে ।।
বৃষ্ণিকুলশ্রেষ্ঠ-কৃষ্ণ, অর্জুনের সখা ।
গো-ব্রাহ্মণ-সুরগণের করিবারে রক্ষা ।।
অবতরি নাশ পৃথ্বী-দ্রোহী রাজবর্গ ।
গোলকাধিপতি তোমার ক্ষয়হীন বীর্য ।।
যোগেশ্বর, জগদ্গুরু, ওহে ভগবান ।
তোমাকে করিয়ে পুনঃ সশ্রদ্ধ প্রণাম ।।
Subscribe to:
Posts (Atom)