Saturday 7 April 2018

কুন্তিস্তুতি

১.৮.১৮

সকলের অন্তরে ও বাহিরে অবস্থিত হয়েও আদি পুরুষ ও জড়াতীত ভগবান সকলের অলক্ষ্য–
নমস্যে পুরুষং ত্বাদ্যমীশ্বরং প্রকৃতেঃ পরম্ ।
অলক্ষ্যং সর্বভূতানামন্তর্বহিরবস্থিতম্ ॥
আদিপুরুষ প্রভু তুমি প্রকৃতির পার ।
বিনম্র প্রণাম আমার করহ স্বীকার ।।
সর্বজীবের ভেতর-বাহির তোমার বাসস্থান ।
তথাপি না দেখে জীব তোমায় ভগবান ।।

১.৮.১৯

অজ্ঞ ব্যক্তিরা অভিনেতার সাজে সজ্জিত শিল্পীর ন্যায় ভগবৎ-দর্শনেও অক্ষম –   
মায়াজবনিকাচ্ছন্নমজ্ঞাধোক্ষজমব্যয়ম্ ।
ন লক্ষ্যসে মূঢ়দৃশা নটো নাট্যধরো যথা ॥
ইন্দ্রিয়জ জ্ঞানের অতীত অব্যক্ত অচ্যুত ।
মায়াজবনিকা তোমা করে আচ্ছাদিত ।।
মূর্খ যৈছে নাহি বুঝে নটের পরিচয় ।
তৈছে তোমা নাহি দেখে জীবের নিচয় ।।

১.৮.২০

ভগবানের আবির্ভাবের উদ্দেশ্য – 
তথা পরম হংসানাং মুনীনামমলাত্মনাম্ ।
ভক্তিযোগবিধানার্থং কথং পশ্যেমহি স্ত্রিয়ঃ ॥
পরমহংস মুনিগণের নির্মল হৃদয় ।
ভক্তিযোগের বিজ্ঞান তাতে করিতে উদয় ।।
স্বয়ং অবতরণ কর তুমি দয়াময় ।
মো-সম-স্ত্রীগণে কৈছে তোমার জ্ঞান হয় ।।

১.৮.২১

শ্রীকৃষ্ণ প্রণাম
কৃষ্ণায় বাসুদেবায় দেবকীনন্দনায় চ ।
নন্দগোপকুমারায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ॥
বসুদেব-সুত কৃষ্ণ দেবকীনন্দন ।
গাভী আর ইন্দ্রিয়ের আনন্দ-বর্ধন ।।
গোপেশ্বর-মহারাজ নন্দের নন্দন ।
পুনঃ পুনঃ করি তোমা প্রণাম নিবেদন ।।

১.৮.২২

ভগবানের পদ্মসদৃশ দেহ-সৌষ্ঠব –  
নমঃ পঙ্কজনাভায় নমঃ পঙ্কজমালিনে ।
নমঃ পঙ্কজনেত্রায় নমস্তে পঙ্কজাঙ্ঘ্রয়ে ॥
পদ্মনাভ-পদ্মমালি-পদ্মনেত্র তুমি ।
পঙ্কজাঙ্ঘ্রি প্রভু তোমা নমন করি আমি ।।

১.৮.২৩

ভগবান কর্তৃক ভক্তরক্ষা – 
যথা হৃষিকেশ খলেন দেবকী
                   কংসেন রুদ্ধাতিচিরং শুচার্পিতা ।
বিমোচিতাঞ্চ সহাত্মজা বিভো
              ত্বয়ৈব নাথেন মুহুর্বিপদগুাৎ ॥
খল কংস বহুকাল তোমার জননীরে ।
রুদ্ধ করে রেখেছিল কারার ভিতরে ।।
শোকগ্রস্ত জননীরে করিলে উদ্ধার ।
ইন্দ্রিয়ের অধিপতি তুমি সবাকার ।।
তৈছে আমায় পুত্রসহ বিপদরাশি হৈতে ।
রাখিয়াছ বারেবারে তোমার দয়াতে ।।

১.৮.২৪

পাণ্ডবদের বিপদের তালিকা –
বিষান্মহাগ্নেঃ পুরুষাদদর্শনা-
            দসৎসভায়া বনবাসকৃচ্ছ্রতঃ ।
মৃধে মৃধেনেকমহারথাস্ত্রতো
                    দ্রৌণ্যস্ত্রতশ্চাস্ম হরেভিরক্ষিতাঃ ॥
পূর্বে বিষ, মহা অগ্নি, নরখাদক হইতে ।
অসৎসভা, বনবাসের দুঃখ-কষ্ট হইতে ।।
রাখিয়াছ যুদ্ধে মহারথীর অস্ত্র হইতে ।
এবে যে রাখিলে হরি দ্রৌণির অস্ত্র হইতে ।।

১.৮.২৫

ভগবৎ-স্মরণার্থে ভক্ত কর্তৃক পুনঃ পুনঃ বিপদ প্রার্থনা – 
বিপদঃ সন্তু তাঃ শশ্বত্তত্র তত্র জগদগুরো ।
ভবতো দর্শনং যৎ স্যাদপুনর্ভবদর্শনম্ ॥
প্রার্থনা মোর বিপদরাশি আসুক নিরন্তর ।
তবে পাব তব দেখা হে-জগদীশ্বর ।।
তব দরশন হইতে ঘুচিবে সংসার ।
জন্ম-মৃত্যু চক্র হইতে পাইব নিস্তার ।

১.৮.২৬

ভগবৎ-প্রাপ্তির যোগ্যতা (অকিঞ্চনত্ব) ও অন্তরায়-চতুঃষ্টয় (জন্ম, ঐশ্বর্য, শ্রুত, শ্রী) –  
জন্মৈশ্বর্যশ্রুতশ্রীভিরেধমানমদঃ পুমান্ ।
নৈবার্হত্যাভিধাতুং বৈ ত্বামকিঞ্চনগোচরম্ ॥
সৎকুল, ধন, বিদ্যা রূপাদি বৈভব ।
লভিয়া হইয়াছে মদমত্ত যেই সব ।।
নাহি পারে লভিবারে তব নাম কভু ।
অকিঞ্চনের গোচর এই তোমার রীতি প্রভু ।।

১.৮.২৭

অকিঞ্চন ভক্ত ও অন্যান্যদের সাথে ভগবানের বিনিময় – 
নমোকিঞ্চনবিত্তায় নিবৃত্তগুণবৃত্তয়ে ।
আত্মারামায় শান্তায় কৈবল্যপতয়ে নমঃ ॥
অকিঞ্চনের বিত্ত তুমি তোমায় নমস্কার ।
পূর্ণরূপে আত্মতৃপ্ত, প্রকৃতির পার ।।
রাগাদি-কাম মুক্ত তুমি প্রশান্ত সর্বদা ।
নমস্কার করি তব পদে মুক্তিদাতা ।।

১.৮.২৮

জীবের মধ্যে পরস্পর কলহের কারণ জীব নিজেই, সম গুণ সম্পন্ন ভগবান নন – 
মন্যে ত্বাং কালমীশানমনাদিনিধনং বিভুম্ ।
সমং চরন্তং সর্বত্র ভূতানাং যন্মিথঃ কলিঃ ॥
নিত্যকালস্বরূপ বলে তোমায় ভাবি আমি ।
আদি-অন্তহীন, সর্ব্ব্যাপ্ত প্রভু তুমি ।।
সবার নিয়ন্তা, সমান কৃপা সবার প্রতি ।
জীবের-কলহের হেতু পারস্পরিক প্রীতি ।।


১.৮.২৯

নিরপেক্ষ ভগবানের বিভ্রান্তিকর লীলা

ন বেদ কশ্চিদ্ভগবংশ্চিকীর্ষিতং
তবেহমানস্য নৃণাং বিড়ম্বনম্ ।
ন যস্য কশ্চিদ্দয়িতোহস্তি কর্হিচিদ্
দ্বেষ্যশ্চ যস্মিন্ বিষমা মতির্নৃণাম্

তব দিব্য কার্য্য লোকের বোধগম্য নয় ।
সাধারণ ক্রিয়া বলে প্রতিভাত হয় ।।
এ জগতে নাহি কেহ তব শত্রু-মিত্র ।
মূঢ় লোক ভাবে তোমায় পক্ষপাতপূর্ণ ।।

১.৮.৩০

ভগবানে বিরোধাত্মক বৈশিষ্ট্যাবলী

জন্ম কর্ম চ বিশ্বাত্মন্নজস্যাকর্তুরাত্মনঃ
তির্যঙনৃষিষু যাদঃসু তদত্যন্তবিড়ম্বনম্ ।।

অনাদি, নিষ্ক্রিয়, তুমি জগদন্তর্য্যামী ।
জীবের হৃদয়ে থাক হয়ে অন্তর্য্যামী ।।
তথাপি করহ জন্ম-কর্ম এ জগতে ।
পশু-নর-ঋষি আর জলচর কুলে ।।
তোমার এসব লীলা বিড়ম্বনাকর ।
অভিনয় মাত্র লোক-প্রবঞ্চনাকর ।।

১.৮.৩১

স্বয়ং ভয়েরও ভয়স্বরূপ ভগবানের ভীতি

গোপ্যাদ্যদে ত্বয়ি কৃতাগসি দাম তাবদ্
যা তে দশাশ্রুকলিলাঞ্জনসম্ভ্রমাক্ষম্ ।
বক্ত্রং নিনীয় ভয়ভাবনয়া স্থিতস্য
সা মাং বিমোহয়তি ভীরপি যদ্বিভেতি ।।

দধিভাণ্ড ভেঙ্গেছিলে বাল্যলীলা-কালে ।
রজ্জুহাতে লইলা মাতা তোমায় বান্ধিবারে ।।
আনত মস্তকে তখন ভয়ের ভাবনায় ।
স্বয়ং ভয়ের ভয়স্বরূপ তোমার হইল ভয় ।।
অশ্রুসিক্ত নয়ন তোমার বিধৌত অঞ্জন ।
হেন দশা স্মরি আজও বিমুগ্ধ মোর মন ।।

১.৮.৩২

পুণ্যবান রাজাদের কীর্তি বর্ধনার্থে ও প্রিয়ভক্ত যদুর আনন্দ বিধানার্থে

কেচিদাহুরজং জাতং পুণ্যশ্লোকস্য কীর্তয়ে
যদোঃ প্রিয়স্যান্ববায়ে মলয়স্যেব চন্দনম্ ।

মলয়ের যশোরাশি বাড়াইবার তরে ।
চন্দনের তরু যৈছে তথায় অবতরে ।।
তৈছে কেহ বলে হইল অজের অবতার
বাড়াইতে কীর্তি সব পুণ্যবান-রাজার ।।
কিংবা তব প্রিয়ভক্ত মহারাজ যদু ।
তাঁর বংশে কৈলে জন্ম তাঁর-তুষ্টি হেতু ।।

১.৮.৩৩

বসুদেব-দেবকীর প্রার্থনায় ও অসুর সংহারার্থে ভগবৎ-আবির্ভাব

অপরে বসুদেবস্য দেবক্যাং যাচিতোহভ্যগাৎ
অজস্ত্বমস্য ক্ষেমায় বধায় চ সুরদ্বিষাম্ ।

অন্য কেহ বলে বসুদেব আর দেবকী ।
তাঁদের-আহ্বানে অবতরণ কৈলে তুমি ।।
তাঁদের মঙ্গল আর অসুর নিধন
অজ ভগবান তোমার জন্মের কারণ ।।

১.৮.৩৪

ব্রহ্মার প্রার্থনায় ভূভার হরণার্থে ভগবৎ-আবির্ভাব

ভারাবতারণায়ান্যে ভুবো নাব ইবোদধৌ
সীদন্ত্যা ভূরিভারেণ জাতো হ্যাত্মভুবার্থিতঃ ।

সমুদ্রেতে মজ্জমান ভারী-নায়ের ন্যায় ।
পাপভারে ক্ষিতি হইল অবসন্নপ্রায় ।।
তব পুত্র ব্রহ্মা তোমায় প্রার্থনা জানাইলে ।
সেই হেতু জন্ম তোমার অন্য কেহ বলে ।।

১.৮.৩৫

বদ্ধজীবের উদ্ধারের জন্য ভক্তিযোগ পুনঃপ্রবর্তনার্থে

ভবেহস্মিন্ ক্লিশ্যমানানামাবিদ্যাকামকর্মভিঃ
শ্রবণস্মরণার্হাণি করিষ্যন্নিতি কেচন ।

অবিদ্যাজনিত কাম-কর্মের বন্ধনে ।
ভবে-বদ্ধ ক্লেশক্লিষ্ট জীবের তারণে ।।
শ্রবণ-স্মরণ-অর্চনাদি ভক্তিযোগ যেহো ।
পুনঃপ্রবর্তাইতে জন্ম বলে অন্য কেহ ।।

১.৮.৩৬

জন্ম-মৃত্যুর প্রবাহ নিবৃত্তকারী ভগবৎ-পাদপদ্ম দর্শনের যোগ্যতা

শৃণ্বন্তি গায়ন্তি গৃণন্ত্যভীক্ষ্ণশঃ
স্মরন্তি নন্দন্তি তবেহিতং জনাঃ
ত এব পশ্যন্ত্যচিরেণ তাবকং
ভবপ্রবাহোপরমং পদাম্বুজম্ ।

যারা তব কীর্তিগাথার করেন শ্রবণ ।
নিরন্তর করেন গান-জপ ও স্মরণ ।।
কিংবা অন্য জনে কৈলে তবে তার প্রতি ।
মৎসরতা নাহি হয়, কিন্তু হয় প্রীতি ।।
তব পদ হয় তাদের অচিরে দর্শন
জন্ম-মৃত্যু-স্রোত যাতে হয় নিবর্তন ।।

১.৮.৩৭

শত্রু-সংকুল পরিস্থিতিতে পরিত্যাগ না করতে ভগবানকে অনুনয়

অপাদ্য নস্তং স্বকৃতেহিত প্রভো
জিহাসসি স্বিৎ সুহৃদোহনুজীবিনঃ ।
যেষাং ন চান্যদ্ভবতঃ পদাম্বুজাৎ
পরায়ণং রাজসু যোজিতাংহসাম্ ।।

রাজাগণের দুঃখলাভের কারণ আমরা ।
আমাদের প্রতি দ্বেষ-ভাব রাখে তারা ।।
যদ্যপিও সমর্পিত মোরা তোমা পদে ।
তোমা বিনা রক্ষাকর্তা নাহি মোদের এবে ।।
আপনি করিলে পূর্ণ আপনার কাজ ।
আমা সবা ছাড়ি প্রভু কিবা যাও আজ ।।

১.৮.৩৮

ভগবৎ-অদর্শনে অসহায় জীব

কে বয়ং নামরূপাভ্যাং যদুভিঃ সহ পাণ্ডবাঃ ।
ভবতোহদর্শনং যর্হি হৃষীকাণামিবেশিতুঃ ।।

আত্মার প্রয়াণ হইলে আর থাকে কিবা ।
নাম-যশ শেষ সব দেহে ছিল যেবা ।।
তৈছে যদি আমাদের নাহি দেখ তুমি ।
পাণ্ডব-যাদবের কীর্তি যাইবে তখনি ।।

১.৮.৩৯

ভগবৎ-পাদপদ্মের চিহ্নাঙ্কিত রাজ্য

নেয়ং শোভিষ্যতে তত্র যথেদানীং গদাধর
ত্বৎপদৈরঙ্কিতা ভাতি স্বলক্ষণবিলক্ষিতৈঃ ।।

ধ্বজবজ্রাঙ্কুশাদি সব তব চরণের ।
চিহ্নসব শোভাকরে রাজ্য আমাদের ।।
এবে যদি প্রভু তুমি এই রাজ্য ছাড় ।
হেন শোভা নাহি রবে ওহে গদাধর ।।

১.৮.৪০

ভগবানের শুভ দৃষ্টিপাতের ফল - সমৃদ্ধ জনপদ

ইমে জনপদাঃ স্বৃদ্ধাঃ সুপক্বৌষধিবীরুধঃ ।
বনাদ্রিনদ্যুদন্বন্তো হ্যেধন্তে তব বীক্ষিতৈঃ ।।
সমৃদ্ধ হয়েছে সব জনপদ-দেশ ।
শস্য আর ঔষধি সব জন্মিল অশেষ ।।
বৃক্ষসব পূর্ণ হইল পরিপক্ক ফলে ।
ধাতুতে সমৃদ্ধ গিরি, সমুদ্র সম্পদে ।।
প্রবাহিত নদীসব আপন গতিতে ।
হইয়াছে সম্ভব সব তব দৃষ্টিপাতে ।।

১.৮.৪১

স্বজন-স্নেহ ছিন্ন করার প্রার্থনা

অথ বিশ্বেশ বিশ্বাত্মন্ বিশ্বমূর্তে স্বকেষু মে
স্নেহপাশমিমং ছিন্ধি দৃঢ়ং পাণ্ডুষু বৃষ্ণিষু ।।

হে সর্ব-অন্তর্যামী, হে জগদীশ্বর ।
বিশ্বরূপ মোর প্রতি এই দয়া কর ।।
আত্মীয়সকল যত বৃষ্ণি-পাণ্ডবগণ ।
ছিন্ন কর তাদের প্রতি স্নেহের বন্ধন ।।

১.৮.৪২

ভগবানে নিরন্তর আকৃষ্ট একনিষ্ঠ মতি –

ত্বয়ি মেঽনন্যবিষয়া মতির্মধুপতেঽসকৃৎ ।
রতিমুদ্বহতাদদ্ধা গঙ্গেবৌঘমুদন্বতি ।।

গঙ্গাদেবী যৈছে প্রবাহিত হন সুখে ।
অপ্রতিহতভাবে সাগরাভিমুখে ।।
তৈছে আমার একনিষ্ঠ-মতি তোমার প্রতি ।
নিরন্তর-আকৃষ্ট যেন থাকে মধুপতি ।।

১.৮.৪৩

শ্রীকৃষ্ণ স্তুতির সারমর্ম –

শ্রীকৃষ্ণ কৃষ্ণসখ বৃষ্ণ্যৃষভাবনিধ্রুগ্
রাজন্যবংশদহনানপবর্গবীর্য
গোবিন্দ গোদ্বিজসুরার্তিহরাবতার
যোগেশ্বরাখিলগুরো ভগবন্নমস্তে ।।

বৃষ্ণিকুলশ্রেষ্ঠ-কৃষ্ণ, অর্জুনের সখা ।
গো-ব্রাহ্মণ-সুরগণের করিবারে রক্ষা ।।
অবতরি নাশ পৃথ্বী-দ্রোহী রাজবর্গ ।
গোলকাধিপতি তোমার ক্ষয়হীন বীর্য ।।
যোগেশ্বর, জগদ্‌গুরু, ওহে ভগবান ।
তোমাকে করিয়ে পুনঃ সশ্রদ্ধ প্রণাম ।।



Tuesday 3 April 2018

শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের ৬৯তম শুভ আবির্ভাব তিথি ২০১৮ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি । 
গুরুদেব ! আমার ভরসা শুধু তুমি ।
মায়া অন্ধকার ঘোর,            অনর্থ সাগরে মোর,
দশা বড় হইয়াছে করুণ ।
সদা হাবুডুব খাই,        একমাত্র আশা তাই,
ধরিলাম তোমার শ্রীচরণ ।।

গুরুদেব ! কবে হবে সেই দিন মোর ।
ভোগের প্রবৃত্তি যত,          মোর চিত্তে আছে কত,
তাহার ইয়ত্তা কেবা জানে ।
নিবৃত্তি হইবে যবে,          নিষ্কপট চিত্তে তবে,
তাকাইব তব মুখপানে ।।

নিষ্কাম-নিষ্কপট হইয়া,           নববিধা ভক্তি লইয়া,
তব আজ্ঞা করিব পালন ।
পার্থিব সুখ-দুঃখ ছাড়ি,        তবপাদপদ্ম ধরি,
নিরন্তর করিব সেবন ।।

ভাগবতের বিচার-লেশ,           একান্ত অভিনিবেশ,
জীবেদয়া হইবে উদয়
হরিনামে রুচি হবে,          অপরাধ দূরে যাবে,
যদি হও এদাসে সদয় ।।

লালসা করয়ে তাই,          পদ্মমুখ নিমাই,
তোমার দয়া লঙ্ঘিবে সীমানা ।
সারা বিশ্ব দেখুক আজ,          ওহে গুরু মহারাজ,
ওড়াও তোমার জয়ের পতাকা ।।
পদ্মমুখ নিমাই দাস,
শ্রীধাম, মায়াপুর ।