১.৮.১৮
সকলের অন্তরে ও বাহিরে অবস্থিত
হয়েও আদি পুরুষ ও জড়াতীত ভগবান সকলের অলক্ষ্য–
নমস্যে পুরুষং ত্বাদ্যমীশ্বরং প্রকৃতেঃ পরম্ ।
অলক্ষ্যং সর্বভূতানামন্তর্বহিরবস্থিতম্ ॥
আদিপুরুষ প্রভু
তুমি প্রকৃতির পার ।
বিনম্র প্রণাম আমার
করহ স্বীকার ।।
সর্বজীবের
ভেতর-বাহির তোমার বাসস্থান ।
তথাপি না দেখে জীব
তোমায় ভগবান ।।
১.৮.১৯
অজ্ঞ ব্যক্তিরা অভিনেতার সাজে
সজ্জিত শিল্পীর ন্যায় ভগবৎ-দর্শনেও অক্ষম –
মায়াজবনিকাচ্ছন্নমজ্ঞাধোক্ষজমব্যয়ম্
।
ন লক্ষ্যসে মূঢ়দৃশা নটো নাট্যধরো
যথা ॥
ইন্দ্রিয়জ জ্ঞানের
অতীত অব্যক্ত অচ্যুত ।
মায়াজবনিকা তোমা
করে আচ্ছাদিত ।।
মূর্খ যৈছে নাহি
বুঝে নটের পরিচয় ।
তৈছে তোমা নাহি
দেখে জীবের নিচয় ।।
১.৮.২০
ভগবানের আবির্ভাবের উদ্দেশ্য –
তথা পরম হংসানাং মুনীনামমলাত্মনাম্
।
ভক্তিযোগবিধানার্থং কথং পশ্যেমহি
স্ত্রিয়ঃ ॥
পরমহংস মুনিগণের
নির্মল হৃদয় ।
ভক্তিযোগের বিজ্ঞান
তাতে করিতে উদয় ।।
স্বয়ং অবতরণ কর
তুমি দয়াময় ।
মো-সম-স্ত্রীগণে
কৈছে তোমার জ্ঞান হয় ।।
১.৮.২১
শ্রীকৃষ্ণ প্রণাম –
কৃষ্ণায় বাসুদেবায় দেবকীনন্দনায় চ ।
নন্দগোপকুমারায় গোবিন্দায় নমো নমঃ
॥
বসুদেব-সুত কৃষ্ণ
দেবকীনন্দন ।
গাভী আর ইন্দ্রিয়ের
আনন্দ-বর্ধন ।।
গোপেশ্বর-মহারাজ
নন্দের নন্দন ।
পুনঃ পুনঃ করি তোমা
প্রণাম নিবেদন ।।
১.৮.২২
ভগবানের পদ্মসদৃশ দেহ-সৌষ্ঠব
–
নমঃ পঙ্কজনাভায় নমঃ পঙ্কজমালিনে ।
নমঃ পঙ্কজনেত্রায় নমস্তে
পঙ্কজাঙ্ঘ্রয়ে ॥
পদ্মনাভ-পদ্মমালি-পদ্মনেত্র
তুমি ।
পঙ্কজাঙ্ঘ্রি প্রভু
তোমা নমন করি আমি ।।
১.৮.২৩
ভগবান কর্তৃক ভক্তরক্ষা –
যথা হৃষিকেশ খলেন দেবকী
কংসেন রুদ্ধাতিচিরং
শুচার্পিতা ।
বিমোচিতাঽঞ্চ সহাত্মজা বিভো
ত্বয়ৈব নাথেন মুহুর্বিপদগুাৎ ॥
খল কংস বহুকাল
তোমার জননীরে ।
রুদ্ধ করে রেখেছিল
কারার ভিতরে ।।
শোকগ্রস্ত জননীরে
করিলে উদ্ধার ।
ইন্দ্রিয়ের অধিপতি
তুমি সবাকার ।।
তৈছে আমায় পুত্রসহ
বিপদরাশি হৈতে ।
রাখিয়াছ বারেবারে
তোমার দয়াতে ।।
১.৮.২৪
পাণ্ডবদের বিপদের তালিকা –
বিষান্মহাগ্নেঃ পুরুষাদদর্শনা-
দসৎসভায়া বনবাসকৃচ্ছ্রতঃ ।
মৃধে মৃধেঽনেকমহারথাস্ত্রতো
দ্রৌণ্যস্ত্রতশ্চাস্ম
হরেঽভিরক্ষিতাঃ ॥
পূর্বে বিষ, মহা অগ্নি,
নরখাদক হইতে ।
অসৎসভা, বনবাসের
দুঃখ-কষ্ট হইতে ।।
রাখিয়াছ যুদ্ধে মহারথীর
অস্ত্র হইতে ।
এবে যে রাখিলে হরি
দ্রৌণির অস্ত্র হইতে ।।
১.৮.২৫
ভগবৎ-স্মরণার্থে ভক্ত কর্তৃক
পুনঃ পুনঃ বিপদ প্রার্থনা –
বিপদঃ সন্তু তাঃ শশ্বত্তত্র তত্র
জগদগুরো ।
ভবতো দর্শনং যৎ
স্যাদপুনর্ভবদর্শনম্ ॥
প্রার্থনা মোর বিপদরাশি
আসুক নিরন্তর ।
তবে পাব তব দেখা
হে-জগদীশ্বর ।।
তব দরশন হইতে
ঘুচিবে সংসার ।
জন্ম-মৃত্যু চক্র হইতে
পাইব নিস্তার ।
১.৮.২৬
ভগবৎ-প্রাপ্তির যোগ্যতা
(অকিঞ্চনত্ব) ও অন্তরায়-চতুঃষ্টয় (জন্ম, ঐশ্বর্য, শ্রুত, শ্রী) –
জন্মৈশ্বর্যশ্রুতশ্রীভিরেধমানমদঃ
পুমান্ ।
নৈবার্হত্যাভিধাতুং বৈ
ত্বামকিঞ্চনগোচরম্ ॥
সৎকুল, ধন, বিদ্যা
রূপাদি বৈভব ।
লভিয়া হইয়াছে
মদমত্ত যেই সব ।।
নাহি পারে লভিবারে
তব নাম কভু ।
অকিঞ্চনের গোচর এই
তোমার রীতি প্রভু ।।
১.৮.২৭
অকিঞ্চন ভক্ত ও অন্যান্যদের
সাথে ভগবানের বিনিময় –
নমোঽকিঞ্চনবিত্তায়
নিবৃত্তগুণবৃত্তয়ে ।
আত্মারামায় শান্তায় কৈবল্যপতয়ে নমঃ
॥
অকিঞ্চনের বিত্ত
তুমি তোমায় নমস্কার ।
পূর্ণরূপে
আত্মতৃপ্ত, প্রকৃতির পার ।।
রাগাদি-কাম মুক্ত
তুমি প্রশান্ত সর্বদা ।
নমস্কার করি তব পদে
মুক্তিদাতা ।।
১.৮.২৮
জীবের মধ্যে পরস্পর কলহের কারণ
জীব নিজেই, সম গুণ সম্পন্ন ভগবান নন –
মন্যে ত্বাং কালমীশানমনাদিনিধনং
বিভুম্ ।
সমং চরন্তং সর্বত্র ভূতানাং
যন্মিথঃ কলিঃ ॥
নিত্যকালস্বরূপ বলে
তোমায় ভাবি আমি ।
আদি-অন্তহীন,
সর্ব্ব্যাপ্ত প্রভু তুমি ।।
সবার নিয়ন্তা, সমান
কৃপা সবার প্রতি ।
জীবের-কলহের হেতু পারস্পরিক
প্রীতি ।।
১.৮.২৯
নিরপেক্ষ ভগবানের বিভ্রান্তিকর লীলা
ন বেদ কশ্চিদ্ভগবংশ্চিকীর্ষিতং
তবেহমানস্য নৃণাং বিড়ম্বনম্ ।
ন যস্য কশ্চিদ্দয়িতোহস্তি কর্হিচিদ্
দ্বেষ্যশ্চ যস্মিন্ বিষমা মতির্নৃণাম্ ।।
তব দিব্য কার্য্য লোকের বোধগম্য নয় ।
সাধারণ ক্রিয়া বলে প্রতিভাত হয় ।।
এ জগতে নাহি কেহ তব শত্রু-মিত্র ।
মূঢ় লোক ভাবে তোমায় পক্ষপাতপূর্ণ ।।
১.৮.৩০
ভগবানে বিরোধাত্মক বৈশিষ্ট্যাবলী
জন্ম কর্ম চ বিশ্বাত্মন্নজস্যাকর্তুরাত্মনঃ ।
তির্যঙনৃষিষু যাদঃসু তদত্যন্তবিড়ম্বনম্ ।।
অনাদি, নিষ্ক্রিয়, তুমি জগদন্তর্য্যামী ।
জীবের হৃদয়ে থাক হয়ে অন্তর্য্যামী ।।
তথাপি করহ জন্ম-কর্ম এ জগতে ।
পশু-নর-ঋষি আর জলচর কুলে ।।
তোমার এসব লীলা বিড়ম্বনাকর ।
অভিনয় মাত্র লোক-প্রবঞ্চনাকর ।।
১.৮.৩১
স্বয়ং ভয়েরও ভয়স্বরূপ ভগবানের ভীতি
গোপ্যাদ্যদে ত্বয়ি কৃতাগসি দাম তাবদ্
যা তে দশাশ্রুকলিলাঞ্জনসম্ভ্রমাক্ষম্ ।
বক্ত্রং নিনীয় ভয়ভাবনয়া স্থিতস্য
সা মাং বিমোহয়তি ভীরপি যদ্বিভেতি ।।
দধিভাণ্ড ভেঙ্গেছিলে বাল্যলীলা-কালে ।
রজ্জুহাতে লইলা মাতা তোমায় বান্ধিবারে ।।
আনত মস্তকে তখন ভয়ের ভাবনায় ।
স্বয়ং ভয়ের ভয়স্বরূপ তোমার হইল ভয় ।।
অশ্রুসিক্ত নয়ন তোমার বিধৌত অঞ্জন ।
হেন দশা স্মরি আজও বিমুগ্ধ মোর মন ।।
১.৮.৩২
পুণ্যবান রাজাদের কীর্তি বর্ধনার্থে ও প্রিয়ভক্ত যদুর আনন্দ বিধানার্থে
কেচিদাহুরজং জাতং পুণ্যশ্লোকস্য কীর্তয়ে ।
যদোঃ প্রিয়স্যান্ববায়ে মলয়স্যেব চন্দনম্ ।।
মলয়ের যশোরাশি বাড়াইবার তরে ।
চন্দনের তরু যৈছে তথায় অবতরে ।।
তৈছে কেহ বলে হইল অজের অবতার ।
বাড়াইতে কীর্তি সব পুণ্যবান-রাজার ।।
কিংবা তব প্রিয়ভক্ত মহারাজ যদু ।
তাঁর বংশে কৈলে জন্ম তাঁর-তুষ্টি হেতু ।।
১.৮.৩৩
বসুদেব-দেবকীর প্রার্থনায় ও অসুর সংহারার্থে ভগবৎ-আবির্ভাব
অপরে বসুদেবস্য দেবক্যাং যাচিতোহভ্যগাৎ ।
অজস্ত্বমস্য ক্ষেমায় বধায় চ সুরদ্বিষাম্ ।।
অন্য কেহ বলে বসুদেব আর দেবকী ।
তাঁদের-আহ্বানে অবতরণ কৈলে তুমি ।।
তাঁদের মঙ্গল আর অসুর নিধন ।
অজ ভগবান তোমার জন্মের কারণ ।।
১.৮.৩৪
ব্রহ্মার প্রার্থনায় ভূভার হরণার্থে ভগবৎ-আবির্ভাব
ভারাবতারণায়ান্যে ভুবো নাব ইবোদধৌ ।
সীদন্ত্যা ভূরিভারেণ জাতো হ্যাত্মভুবার্থিতঃ ।।
সমুদ্রেতে মজ্জমান ভারী-নায়ের ন্যায় ।
পাপভারে ক্ষিতি হইল অবসন্নপ্রায় ।।
তব পুত্র ব্রহ্মা তোমায় প্রার্থনা জানাইলে ।
সেই হেতু জন্ম তোমার অন্য কেহ বলে ।।
১.৮.৩৫
বদ্ধজীবের উদ্ধারের জন্য ভক্তিযোগ পুনঃপ্রবর্তনার্থে
ভবেহস্মিন্ ক্লিশ্যমানানামাবিদ্যাকামকর্মভিঃ ।
শ্রবণস্মরণার্হাণি করিষ্যন্নিতি কেচন ।।
অবিদ্যাজনিত কাম-কর্মের বন্ধনে ।
ভবে-বদ্ধ ক্লেশক্লিষ্ট জীবের তারণে ।।
শ্রবণ-স্মরণ-অর্চনাদি ভক্তিযোগ যেহো ।
পুনঃপ্রবর্তাইতে জন্ম বলে অন্য কেহ ।।
১.৮.৩৬
জন্ম-মৃত্যুর প্রবাহ নিবৃত্তকারী ভগবৎ-পাদপদ্ম দর্শনের যোগ্যতা
শৃণ্বন্তি গায়ন্তি গৃণন্ত্যভীক্ষ্ণশঃ
স্মরন্তি নন্দন্তি তবেহিতং জনাঃ ।
ত এব পশ্যন্ত্যচিরেণ তাবকং
ভবপ্রবাহোপরমং পদাম্বুজম্ ।।
যারা তব কীর্তিগাথার করেন শ্রবণ ।
নিরন্তর করেন গান-জপ ও স্মরণ ।।
কিংবা অন্য জনে কৈলে তবে তার প্রতি ।
মৎসরতা নাহি হয়, কিন্তু হয় প্রীতি ।।
তব পদ হয় তাদের অচিরে দর্শন ।
জন্ম-মৃত্যু-স্রোত যাতে হয় নিবর্তন ।।
১.৮.৩৭
শত্রু-সংকুল পরিস্থিতিতে পরিত্যাগ না করতে ভগবানকে অনুনয়
অপাদ্য নস্তং স্বকৃতেহিত প্রভো
জিহাসসি স্বিৎ সুহৃদোহনুজীবিনঃ ।
যেষাং ন চান্যদ্ভবতঃ পদাম্বুজাৎ
পরায়ণং রাজসু যোজিতাংহসাম্ ।।
রাজাগণের দুঃখলাভের কারণ আমরা ।
আমাদের প্রতি দ্বেষ-ভাব রাখে তারা ।।
যদ্যপিও সমর্পিত মোরা তোমা পদে ।
তোমা বিনা রক্ষাকর্তা নাহি মোদের এবে ।।
আপনি করিলে পূর্ণ আপনার কাজ ।
আমা সবা ছাড়ি প্রভু কিবা যাও আজ ।।
১.৮.৩৮
ভগবৎ-অদর্শনে অসহায় জীব
কে বয়ং নামরূপাভ্যাং যদুভিঃ সহ পাণ্ডবাঃ ।
ভবতোহদর্শনং যর্হি হৃষীকাণামিবেশিতুঃ ।।
আত্মার প্রয়াণ হইলে আর থাকে কিবা ।
নাম-যশ শেষ সব দেহে ছিল যেবা ।।
তৈছে যদি আমাদের নাহি দেখ তুমি ।
পাণ্ডব-যাদবের কীর্তি যাইবে তখনি ।।
১.৮.৩৯
ভগবৎ-পাদপদ্মের চিহ্নাঙ্কিত রাজ্য
নেয়ং শোভিষ্যতে তত্র যথেদানীং গদাধর ।
ত্বৎপদৈরঙ্কিতা ভাতি স্বলক্ষণবিলক্ষিতৈঃ ।।
ধ্বজবজ্রাঙ্কুশাদি সব তব চরণের ।
চিহ্নসব শোভাকরে রাজ্য আমাদের ।।
এবে যদি প্রভু তুমি এই রাজ্য ছাড় ।
হেন শোভা নাহি রবে ওহে গদাধর ।।
১.৮.৪০
ভগবানের শুভ দৃষ্টিপাতের ফল - সমৃদ্ধ জনপদ
ইমে জনপদাঃ স্বৃদ্ধাঃ সুপক্বৌষধিবীরুধঃ ।
বনাদ্রিনদ্যুদন্বন্তো হ্যেধন্তে তব বীক্ষিতৈঃ ।।
সমৃদ্ধ হয়েছে সব জনপদ-দেশ ।
শস্য আর ঔষধি সব জন্মিল অশেষ ।।
বৃক্ষসব পূর্ণ হইল পরিপক্ক ফলে ।
ধাতুতে সমৃদ্ধ গিরি, সমুদ্র সম্পদে ।।
প্রবাহিত নদীসব আপন গতিতে ।
হইয়াছে সম্ভব সব তব দৃষ্টিপাতে ।।
১.৮.৪১
স্বজন-স্নেহ ছিন্ন করার প্রার্থনা
অথ বিশ্বেশ বিশ্বাত্মন্ বিশ্বমূর্তে স্বকেষু মে
।
স্নেহপাশমিমং ছিন্ধি দৃঢ়ং পাণ্ডুষু বৃষ্ণিষু ।।
হে সর্ব-অন্তর্যামী, হে জগদীশ্বর ।
বিশ্বরূপ মোর প্রতি এই দয়া কর ।।
আত্মীয়সকল যত বৃষ্ণি-পাণ্ডবগণ ।
ছিন্ন কর তাদের প্রতি স্নেহের বন্ধন ।।
১.৮.৪২
ভগবানে নিরন্তর আকৃষ্ট একনিষ্ঠ মতি –
ত্বয়ি মেঽনন্যবিষয়া মতির্মধুপতেঽসকৃৎ ।
রতিমুদ্বহতাদদ্ধা গঙ্গেবৌঘমুদন্বতি ।।
গঙ্গাদেবী যৈছে প্রবাহিত হন সুখে ।
অপ্রতিহতভাবে সাগরাভিমুখে ।।
তৈছে আমার একনিষ্ঠ-মতি তোমার প্রতি ।
নিরন্তর-আকৃষ্ট যেন থাকে মধুপতি ।।
১.৮.৪৩
শ্রীকৃষ্ণ স্তুতির সারমর্ম –
শ্রীকৃষ্ণ কৃষ্ণসখ বৃষ্ণ্যৃষভাবনিধ্রুগ্
রাজন্যবংশদহনানপবর্গবীর্য ।
গোবিন্দ গোদ্বিজসুরার্তিহরাবতার
যোগেশ্বরাখিলগুরো ভগবন্নমস্তে ।।
বৃষ্ণিকুলশ্রেষ্ঠ-কৃষ্ণ, অর্জুনের সখা ।
গো-ব্রাহ্মণ-সুরগণের করিবারে রক্ষা ।।
অবতরি নাশ পৃথ্বী-দ্রোহী রাজবর্গ ।
গোলকাধিপতি তোমার ক্ষয়হীন বীর্য ।।
যোগেশ্বর, জগদ্গুরু, ওহে ভগবান ।
তোমাকে করিয়ে পুনঃ সশ্রদ্ধ প্রণাম ।।
No comments:
Post a Comment