প্রভুপাদ অষ্টকম
(শ্রীল প্রভুপাদ কৃপাধন্য শিষ্য শ্রীপাদ কুশাক্রথ প্রভুকৃত সংস্কৃত
মূল শ্লোকগুলির বাংলায় পদ্যানুবাদ.......)
(১)
মূল সংস্কৃত:
শ্রীশ্রীনবদ্বীপপরপ্রদীপঃ
সন্দীপ্যমানঃ সততো ভুবীহ
চেতস্তমো হন্তি হি যস্য যত্নাৎ
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
পদ্যানুবাদ:
জয় নবদ্বীপ দিব্য প্রদীপ উজ্জ্বল,
চৈতন্যের শিক্ষামৃত নাম মহাবল ।
যাহার প্রভাবে বদ্ধ জীবের হৃদয়,
তম-আধার নাশি করে আলোক উদয় ।
হেন কার্য সম্পাদনে যেঁ কৈলা যতন,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(২)
শ্রীভক্তিসিদ্ধান্তপ্রচোদিতঃ শ্রী
ব্যাসাদ্যকোশং কুশলং কৃপালুঃ
সন্ম্লেচ্ছবাগ্দেশচয়ে ’দধদ্ যস্
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
ম্লেচ্ছ-ভাষী দেশের ভাগ্যে করিতে কুশল,
সরস্বতী গুরু-বানী করিয়া সম্বল ।
ব্যাস-আদি আচার্যের শাস্ত্রের
ভান্ডার,
খুলিয়া বিলাইলা সবে করিলা উদ্ধার ।
এমত কৃপালু প্রভুর কৃপা অনুপম,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(৩)
আচ্ছদ্যতে যৎপরতর্কদৃশ্য
গোবিন্দমূর্ত্য্উজ্জ্বলভাস্করেণ
অদ্বৈতিখদ্যোতকুলং জগত্যাং
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
অদ্বৈতবাদীর দল খদ্যোতের প্রায়,
জগত মোহিত করে তর্কের মায়ায় ।
প্রভুপাদ প্রচারধারা সুদক্ষ যুকতি,
স্থাপিল উজ্জ্বল সূর্য গোবিন্দ
মূরতি ।
অতএব সূর্য কৈল খদ্যোত গ্রহণ,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(৪)
যস্যৈব যত্নেন পুরাণরাজ
গঙ্গামলা কেশবকেলিহংসা
সৎস্তোত্ররত্না বহতীহ লোকে
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
সর্ব পুরাণের রাজা ভাগবত পুরাণ,
শুদ্ধ-স্বচ্ছ-সুরধনী লোকে বহমান ।
কৃষ্ণলীলা-রাজহংস বিহার করে নিত্য,
শুদ্ধ-ভক্ত স্তবাবলী যেন নুড়ী-রত্ন
।
হেন সুরধনী আনি যে কৈল যতন,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(৫)
শ্রীরাধিকাকৃষ্ণপদারবিন্দে
সহস্রহৃৎসু শতমন্দিরেষু
অরোপযদ্ যো মধুরে পৃথিব্যাং
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
শ্রী রাধিকা-কৃষ্ণচন্দ্র যুগল
পাদপদ্ম,
সর্ব লোক চিত্তহারী মাধুর্যের সদ্ম
।
শতেক মন্দিরে রম্য সারা বিশ্ব
জুড়ে,
সহস্র সহস্র জীবের হৃদি-অভ্যন্তরে ।
স্থাপন করিতে যত্ন করিলা যে জন,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(৬)
কৌশল্যদৈর্যস্য সহস্রশাস্ত্র
শস্ত্রাতিবর্ষৈঃ প্রতিহন্যতে হি
চণ্ডা কলের্মোহচমূর্হঠেন
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
মায়া-সৈন্য স্বভাব চণ্ড বদ্ধ জীবের
ত্রাস,
কলি কালের প্রেরিত দূত সর্ব সত্য
নাশ ।
হেন হঠ ভিষন শঠ করিতে দমন,
শাস্ত্র রুপী অস্ত্র-বৃষ্টি কৈলা
নিক্ষেপণ ।
সত্যের জয়-পতাকা বিশ্বে হইল সংস্থাপন,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(৭)
নানালসদগৌরসুধাপ্রকাশ
ফলঃ ক্ষিতৌ স্থাপিত এব যেন
কৃষ্ণানুচিন্তাজনসংঘবৃক্ষস্
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
নিরন্তর কৃষ্ণ চিন্তা বিশ্ব-ব্যাপী সংস্থা,
গৌর-শিক্ষামৃত বিতরনের নানা পন্থা ।
কল্পতরু সংস্থা আর পন্থা তাহার ফল,
জগত মাঝে কীর্তি যাহার করে ঝলমল ।
হেন বৃক্ষ জগত মাঝে যে কৈল স্থাপন,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(৮)
যো নিত্যদা জীবতি দৈবিকীষু
নিজাসু শিক্ষাসু তু সানুগামী
কৃপাম্বুধির্নন্দসুতাশ্রিতাত্মা
তং কীর্তয়ামঃ প্রভুপাদদেবং
প্রভুপাদ চিরজীবি তাঁর দিব্য বাণী,
চিরজীবি তাঁর শত সহস্র অনুগামী ।
নন্দসুত কৃষ্ণচন্দ্রের অভয়-চরণে,
কায়-মন-বাক্যে সদা থাকেন শরণে ।
কৃপানিধি প্রভুপাদ অধম তারণ,
প্রভুপাদ গুণ করি সতত কীর্তন ।।
(৯)
যে বা ইদং শ্রী-প্রভুপাদদেব
কীর্ত্য্অষ্টকং সুষ্ঠু পঠন্তি নিত্যম্
গৌরোদযাচার্যবিচিত্রশক্ত্যা
তে কৃষ্ণবার্তাং প্রবদন্তি ভূম্যাম্
প্রভুপাদ-অনন্ত কীর্তির অল্প স্বল্প কথা,
এ হেন অষ্টক ভিতর বর্ণিত হয় যথা ।
দৃঢ় ভক্তিভাবে যেই নিত্য করে পাঠ,
গৌড়ীয় আচার্য গণের লভে আশীর্বাদ ।
সবে মিলি করুন তারে শক্তি-সঞ্চারণ,
বিশ্বজুড়ি গৌরবাণী করুক প্রচারণ ।।
পদ্যানুবাদ
– পদ্মমুখ নিমাই দাস
Translation in English:
(1)
Let us continuously
glorify His Divine Grace A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupäda, by whose efforts
the hearts of all living entities, which were pervaded by darkness, are
becoming illumined with the brilliant and everlasting lamp of the teachings of
Çré Caitanya Mahäprabhu, whose eternal abode is the holy dhäma of Navadvépa.
(2)
Taking the order of
his spiritual master, Çré Çrémad Bhaktisiddhänta Sarasvaté, as his life, he
showed his causeless mercy on the lowest born creatures, the inhabitants of the
Western countries, by translating, publishing and distributing the auspicious
treasure house of devotional literatures written by Çréla Vyäsadeva, Çréla
Kåñëadäsa Kaviräja and others. Let us, therefore, continuously glorify Çréla
Prabhupäda.
(3)
The last snare of
nescience had been set in place by the Mäyävädé “gurus” and “svämés,” who
appeared like so many glowworms. When, however, the brilliant sun of Lord
Govinda’s transcendental form began to illuminate the world, having been
established, through the expert logic of Çréla Prabhupäda, as the Supreme
Personality of Godhead, the glowworms were naturally eclipsed . Let us, therefore,
continuously offer praise and adoration to His Divine Grace Çréla Prabhupäda.
(4)
Let us glorify His
Divine Grace A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupäda. Because of his efforts, the
pure and crystal-clear Ganges river of Çrémad-Bhägavatam, the king of the
Puräëas, is now flowing all over the world. The pebbles in that river are the
jewels which are the prayers of the pure devotees, and playing within its
waters are the swans which are the pastimes of Lord Keçava.
(5)
Let us glorify His
Divine Grace A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupäda, who planted the charming
lotus feet of Çré Çré Rädhä and Kåñëa in hundreds of temples
and thousands of
hearts in this world.
(6)
Seeing the fierce
army of illusions put forward by the forces of Kali-yuga, Çréla Prabhupäda has
released an unlimited shower of powerful arrows in the form of his books. In
this way, truth is emerging as the victor. Let us, therefore, double and
redouble our glorification of Çréla Prabhupäda.
(7)
Let us glorify His
Divine Grace A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupäda. The desire tree of the
International Society for Krishna Consciousness, whose many splendid fruits are
different methods of distributing Lord Caitanya’s nectarean message, has been
planted by him upon this earth.
(8)
Let us forever
glorify Çréla Prabhupäda, the unlimited ocean of mercy. With his body, mind,
words and self, he has taken complete shelter of the son of Nanda Mahäräja, Çré
Kåñëa. Çréla Prabhupäda lives forever by his divine instructions, and his
followers live with him.
(9)
These eight verses
describe, in small parts, the unlimited glories of His Divine Grace A.C.
Bhaktivedanta Swami Prabhupäda. The authors of these verses pray that all those
who read them regularly and with the proper devotional spirit may become
wonderfully empowered by the äcäryas descended from Çré Caitanya Mahäprabhu to
preach the message of Lord Kåñëa all over the world.
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete